অনাস্থা মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর আজ মালদহের সেই হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আদালতের নির্দেশে নতুন করে অনাস্থা আনা হলো। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার অনাস্থা আনলেন ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও। সুতরাং এই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা।
জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগে একবার প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। কিন্তু তখন বিডিও তলবি সভা ডাকেননি। তখন বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এবার আদালতের রায় হাতে নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা আনল তৃণমূল কংগ্রেস। গত ২৯ মে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য।
এদিকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে অনাস্থা আনতে হবে। অনাস্থা আনা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিডিও–কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলাকারীদের আইনজীবী তাপসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘নতুন করে অনাস্থা আনার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা আদালত। বিডিও–কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ তারপরই সোমবার নতুন করে অনাস্থা আনেন ওই ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান। হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন। ওদের দিকে ১২ জন থাকলে আমার দিকেও ৮ জন আছে। আইন মেনে যা ব্যবস্থা হবে মেনে নেব।’ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে ১৮টি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস।