বিদ্রোহীদের শান্ত করতে কি সুকান্ত মজুমদারকে সরানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? সূত্রের খবর, অন্য কোনও ওষুধে কাজ না হলে সেই পথে হাঁটতে পারে তারা। সেজন্য বিকল্প রাজ্য সভাপতির নামও ভেবে ফেলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তেমন হলে সুকান্তবাবুকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হতে পারে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে দিকে দিকে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহের নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন একাধিক বিধায়ক ও নেতা। রয়েছেন পুরনো রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্যও। বিদ্রোহীদের দাবি, পুরনোদের কথা না ভেবে একতরফাভাবে গঠন করা হয়েছে নতুন রাজ্য কমিটি। এমনকী বঞ্চনা করা হয়েছে মতুয়াদের।
রণনীতি সাজাতে গত ১ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন বিদ্রোহী নেতারা। সঙ্গে দিল্লির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বিদ্রোহীদের প্রতি এখনো পর্যন্ত নরম মনোভাব প্রকাশ করে চলেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওদিকে কড়া হাতে বিদ্রোহ দমনের পক্ষে এরাজ্যের দায়িত্বে থাকা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সময় কিনছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সূত্রের খবর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবিদাওয়া শোনার ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা চলছে। তবে কোনও ভাবেই বিদ্রোহীদের সামাল দেওয়া না গেলে চরম পদক্ষেপ করতে পারেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁর পরিবর্তে দলের রাজ্য সভাপতি হতে পারেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই লকেটের। তাঁকে উত্তরাখণ্ডের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বিজেপি। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন মিটলেই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে তার আগে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্ব বিদ্রোহে ইতি টানার চেষ্টা করবে বলে জানা গিয়েছে।