আজ সিআইডি জেরা এড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই শোনা যায় তিনি নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন? সূত্রের খবর, সোমবারই নয়াদিল্লি যেতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হঠাৎ এই ঝটিকা সফরের কারণ অবশ্য তিনি কাউকে জানাননি। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শলা–পরামর্শ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীদের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন।
সিআইডি তদন্তের আগে তিনি বলেছিলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি ভয় পাই না। রোজ আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি অকৃতদার। আমার কোনও পিছুটান নেই। অথচ তিনি আজ গেলেন না ভবানী ভবনে। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের নেতা বাঘের মতো। ইডি ডেকেছে মুখোমুখি হতে গিয়েছে। আর সিআইডি তদন্ত এড়ালে বুঝব সে বিড়াল।’
বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণার পরই সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে দেশের মধ্যে কেন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?’ তখনই আইনের সাহায্যে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে কোন পথে হাঁটা যায় বা সেখানে কোনও বাগড়া দেওয়া যায় কিনা তা নিয়েই এই সফর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও সূত্রের খবর, সোমবার নয়াদিল্লি গেলে হয়ত সেই আইনি পথে হাঁটার রাস্তা সুগম করে আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।