মুখ্যমন্ত্রীর মুখের কথায় ভরসা নেই। তাই চাকরির লিখিত প্রতিশ্রুতি চাইলেন নিহত DYFI কর্মী মইদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। এদিন সকালে এই দাবি না মানলে দেহ সমাহিত করা হবে না বলে বেঁকে বসেন তাঁরা। পরে গ্রামবাসীরা একপ্রকার জোর করেই দেহ সমাহিত করতে নিয়ে যান। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার কোতুলপুরে মইদুল ইসলামের গ্রামে।
সোমবার নবান্ন থেকে নিহত DYFI কর্মীর পরিবারের এক সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন মইদুলের স্ত্রী। সোমবার রাতে কলকাতা থেকে বাঁকুড়া পৌঁছয় মইদুলের দেহ। সকালে দেহ সমাহিত করার তোড়জোড় শুরু হলে চাকরির লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেন মইদুলের বোন-সহ পরিবারের একাধিক সদস্য।
মইদুলের পরিবারের দাবি, এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেন রাজ্য সরকার। ফলে মুখের কথায় আস্থা নেই তাঁদের।
এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মইদুলের পরিবারের। কিন্তু প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুতেই দেহ সমাহিত করতে নিয়ে যেতে দেবেন না বলে জানান তাঁরা। বিতর্কের মধ্যে একপ্রকার জোর করেই দেহ নিয়ে রওনা দেন গ্রামবাসীরা।
মইদুলের পরিবারের অভিযোদ, এদিন তাঁদের খোঁজ নিতে আসেননি সরকারের কোনও আধিকারিক। এমনকী DYFI-এর কোনও নেতাকেও আসে পাশে দেখা যায়নি।