শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে চাপ দিচ্ছে সিআইডি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ, সিবিআইয়ের কাছে জমা পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন রাজ্যসভায় সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিকাশবাবু বলেন, এতো সাংঘাতিক বিপজ্জনক চোর।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘সারদা কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সুবিধাভোগেীদের খুঁজে বার করতে হবে। সারদার সব থেকে বড় সুবিধাভোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তথ্য গোপন করার জন্য এর আগে রাজীব কুমারকে ব্যবহার করেছে। সেটা নথিভুক্ত রয়েছে। এখন মামলাটিকে অন্যভাবে প্রভাবিত করার জন্য একজন বিচারাধীন বন্দিকে পুলিশ পাঠিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, এতো সাংঘাতিক বিপজ্জনক চোর’।
সংখ্যালঘুদের তৃণমূলের থেকে দূরে সরাতে CPIM-কে টাকা দিচ্ছে BJP, দাবি মমতার
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে বিকাশবাবু বলেন, ‘একজন বন্দির মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। মিথ্যা সাক্ষ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এই অপরাধেই তো নৈতিক দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশমন্ত্রী। সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নির্দেশ না পেলে সিআইডি এই ধরণের দুষ্কর্ম করার সাহস পায় না’।
বুধবার সিবিআইকে চিঠি দিয়ে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা দাবি করেন, ২৩ অগাস্ট দেবযানীকে জেরা করতে দমদম জেলে CID-র এক আধিকারিক গিয়েছিলেন একথা সত্যি। সিআইডির হাতে সারদাকাণ্ডের যে মামলাগুলি রয়েছে তার তদন্তে দেবযানীর সই করা কয়েকটি চেক সিআইডির হাতে আসে। সেই চেকগুলির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক আধিকারিক দমদম জেলে গিয়েছিলেন। কেন ওই চেকগুলি দেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেবযানী সহযোগিতা করেননি।
তিনি আরও দাবি করেন, জেরার সময় সেই ঘরে ছিলেন জেলের এক আধিকারিক ও ১ মহিলা জেলকর্মী। ফলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়।