রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। তবে বিগত কয়েকদিনে এই সংঘাত অন্য মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে বার্তা দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়দের। বৈঠকে মমতার বক্তব্য তুলে ধরে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র প্রতিবেদনে লেখা হয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
আসন্ন বাজেট অধিবেশনে রণকৌশল নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন তৃণমূল সাংসদরা। জাগো বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী মমতা সেই বৈঠকে বলেন, ‘বর্তমান রাজ্যপাল অনৈতিক, রীতি বহির্ভূত, অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ বছরের শাসনকালে এমন রাজ্যপাল এই প্রথম। বিরোধী দলের এজেন্সি হয়ে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার নীতি গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল।’
বৈঠকে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে রাজ্যপালের ভূমিকা। তিনি যে পর্যায়ে গিয়েছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই।’ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হবেন তৃণমূলের সাংসদরা।
সুদীপ বলেন, 'রাজ্যে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মানবাধিকার কমিশন তৈরি করেছেন, তা নিয়েও রাজ্যপাল প্রশ্ন করতে ছাড়ছেন না। আমাদের মনে হচ্ছে যে প্রতি মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার নির্দেশ দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপাল আদতে মনোনীত। কিন্তু আমরা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আছি। সেই সরকারের প্রতিটি কাজে যেভাবে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন, তা যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে হবে।' পাশাপাশি লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা জানান, লোকসভায় এবং রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পেশ করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভেবে দেখতে হবে।