সংখ্যালঘুরা কি মুখ ঘুরিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে? সাগরদিঘির ফল প্রকাশের পর এই প্রশ্ন উঠেছিল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। হারের কারণ খুঁজতে তিনি একটি কমিটিও তৈরি করে দিয়েছিলেন। উদ্বিগ্ন নেত্রী এবার দলের সংখ্যালঘু সেলেও বদল আনলেন। বদলে দিলেন সেলের সভাপতি।
এত দিন ওই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় বসালেন দলের যুব নেতা তথা হড়োয়ার বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। হাজি নরুল ইসলামকে সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই চেয়ারম্যান পদে এতদিন ছিলেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাবিনা ইয়াসমিনের এবং নাদিমুল হকের সঙ্গে মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরদিনাজপুরের সংগঠন দেখবেন সিদ্দিকুল্লা। (পড়তে পারেন। পার্থ-অনুব্রতর দোষ কতটা? বৈঠকে যা বললেন মমতা)
প্রসঙ্গত, এর আগে সাগরদিঘি হারের কারণ খুঁজতে যে কমিটি তিনি তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁর মাথাতেও রেখেছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রীকে। হাজি নুরুল ইসলামকে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি তাঁকে বসিরহাট জেলার চেয়ারম্যান পদেও রাখা হয়েছে। (পড়তে পারেন। অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিলেন দলনেত্রী, দায়িত্ব বাড়ল অরূপ, সিদ্দিকুল্লার)
তবে সংখ্যালঘুরা যে মুখ ফিরিয়েছে তেমনটা মনে করে না মমতা। তৃণমূলের সূত্রে খবর, কালীঘাটের দলের বৈঠকে সেই মত ব্যক্ত করেছেন তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, 'সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, ভোটে কমেনি। সাগরদিঘির আমাদের হারের কারণ নিজেদের দূর্বলতা।' তবু কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব নেড়ে চেড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।