ফের মৃতদেহ আগলে বসে থাকার ঘটনা ঘটল রাজ্যে। এবার দমদমের যুগিপাড়ায়। জানা গিয়েছে, মেয়ের মৃতদেহ ২৪ ঘণ্টার বেশি আগলে বসে রয়েছেন বাবা। প্রতিবেশীরা দেহ উদ্ধারে গেলে বাধা দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে কামারডাঙা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সপ্তমীর রাতে মৃত্যু হয় নাগেরবাজারের যুগিপাড়ার বাসিন্দা সাথী মিত্রের (৪৫)। সেই থেকে মেয়ে বেঁচে উঠবে এই আশায় দেহ আগলে বসে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা বিষ্ণুপদ মিত্র। শুক্রবার পরিবারটিকে বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করলে গেলে বাধা দেন বিষ্ণুবাবু। ফলে শুক্রবার রাতেও দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়নি।
এর পর পুলিশে জানান স্থানীয়রা। শনিবার সকালে কামারডাঙা ফাঁড়ির আধিকারিকরা এক চিকিৎসককে নিয়ে বিষ্ণুবাবুর বাড়িতে আসেন। সেখানে পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেহটি সৎকারের ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
পরিজনের মৃতদেহ আগলে বসে থাকার ঘটনা নতুন নয়। এজন্য সামাজিক যোগাযোগের ঘাটতিকেই দায়ী করছেন মনোবিদরা। তাঁদের কথায়, ব্যস্ত জীবনে আত্মীয়-স্বজনদেরই খোঁজ নিয়ে উঠতে পারেন না অনেকে। আর প্রতিবেশী তো দূর অস্ত। এর ফলে একাকীত্বের জেরে নানা রকম মানসিক বিভ্রান্তি গ্রাস করে কিছু মানুষকে। তার থেকেই ঘটে এমন সব ঘটনা।