হাওড়ার মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেন অভিযুক্ত প্রোমোটার শান্তিরঞ্জন দেকে এখনও গ্রেফতার করল না পুলিশ? শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। এদিন তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত শান্তিরঞ্জনকে গ্রেফতার করে জেরা করলে তৃণমূল নেতাদের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। সেই আশঙ্কায় ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এদিন দুপুরে মঙ্গলাহাটে যান নওসাদ। তখনও সেখানে ধিকি ধিকি জ্বলছে আগুন। সর্বস্ব হারিয়ে সামান্য আশ্বাস খুঁজছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে নওসাদ পৌঁছে বলেন, এখানে অর্ধেক লোক আমার কাছের মানুষ। আমি এদের যার যেখানে দোকান ছিল ফের সেখানে বসতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আগুনের সময় যত কাপড় পুড়েছে তার থেকে অনেক বেশি কাপড় চুরি হয়েছে। আগুন লাগানোয় অভিযোগ উঠেছে প্রোমোটার শান্তিরঞ্জন দের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কারণ তাঁকে গ্রেফতার করলে তৃণমূল নেতাদের নাম বেরিয়ে পড়তে পারে।
ওদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব সরকারি সাহায্যে তাদের পুরনো জায়গায় বসতে দিতে হবে।
শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী আগুন লাগে। শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গে এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত দাবি করেন।