আজ, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। এমনকী মানিক ভট্টাচার্য–সহ তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করতে দেখা গেল ইডির আইনজীবীকে। যার জেরে পিন পড়ার নীরবতা তৈরি হয় সাময়িক। মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট আছে বলে নথি পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনকী সেখানে এখনও ৩ কোটি টাকা পড়ে আছে বলে নথি পেশ করে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তাতে পিন পড়ার নীরবতা তৈরি হয়।
ঠিক কী তথ্য পেশ করেছে ইডি? এদিন ইডির আইনজীবী আদালতকে নথি দিয়ে বলেন, ‘২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে।’ কে এই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী? কেন তার সঙ্গে মানিকের স্ত্রীয়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট? উঠেছে প্রশ্ন। ইডি আদালতকে জানায়, ৬ বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও ওই অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে। মানিকের বাড়িতে ৪ হাজার প্রার্থীর নাম মিলেছে। তার মধ্যে আড়াই হাজারের চাকরি হয়েছে। পলাশীপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের ১০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
মানিক কী জামিন পেলেন? আজ, মঙ্গলবার টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে মানিকের স্ত্রী অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ইডির দেওয়া তথ্য শোনার পর আপাতত রায় স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। মানিক ভট্টাচার্যকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান মানিকবাবু। কিন্তু মানিকের আবেদন খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
কেন মানিকের জামিনের বিরোধিতায় ইডি? ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের সংস্থার তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। যদিও অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। এখন এই চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়টি নিয়েই তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। তাপসের সঙ্গে মানিকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তাই সেগুলি আদালতে তুলে ধরে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।