রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ঠিক নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে একেবারে স্রোতের মতো বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। এমনকী কে আগে যেতে পারবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালে বিজেপির গুড বুকে থাকা যাবে এমনটাও নাকি ভেবেছিলেন কেউ কেউ। আর ভোটের পরে বিজেপির ভরাডুবি হতেই সেই দলবদলু নেতা কর্মীরাই এখন উলটো সুর গাইতে শুরু করেছেন। তাঁরা অনেকেই বলছেন ভুল হয়ে গিয়েছিল। ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাতর আবেদনও জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে একাধিক সংখ্যালঘু নেতাও রয়েছেন। যাঁরা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে চলে গিয়েছিলেন।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘনিষ্ঠ কবিরুল ইসলাম চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। সূত্রের খবর, তিনিও চাইছেন ফিরে আসতে। শুধু কবিরুলই নন, একাধিক সংখ্যালঘু নেতা বিজেপির পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বা পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাঁদের জন্য ফিরহাদ হাকিমের কথা, 'সিদ্ধান্ত নেবে দল। আমি মনে করি ভুল করে সত্যি যাঁরা অনুতপ্ত তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।' এদিকে ফিরহাদের এই কথায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া দলবদলুুরা।
সূত্রের খবর, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভাপতির পদ ছেড়েছেন কাশেম আলি। তেমনি আরামবাগ. পুরশুরা এমনকী উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উলটো সুর গাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুখ খুলেছেন কয়েকজন।তবে তৃণমূল ভবনের এদিন দলের কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের আগেই ফিরহাদ বলেন, 'যে কেউ এসে ঘণ্টা বাজিয়ে চলে যাবে এটা হয় না। সবাইকে না হলেও যাঁরা সত্যিই অনুতপ্ত তাঁদের কথা ভাবতে পারে দল। ক্ষমার চোখে দেখা হতে পারে।তবে কোনওটাই আমার সিদ্ধান্তে হবে না।' কিন্তু আপাতত শনিবার তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকেও দলত্য়াগীদের নিয়ে সেভাবে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।