পুজোর আগে রাজ্যে ভয়াবহভাবে বাড়ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪০ হাজারের কাছাকাছি। প্রতিদিনই কার্যত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা. এ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্বাস্থ্য দফতরকে প্রতিদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিদিন অন্তত ৫০টি করে বাড়ি পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর সংক্রমণের তালিকায় অতি বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে ১৬টি পুরসভাকে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ডেঙ্গি, হাসপাতালে বেড সংরক্ষণ, হেল্পলাইন চালু করেছে KMC
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, এই অতি বিপজ্জনক ১৬ পুরসভার মধ্যে ১১ টি পুরসভা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণায়। শেষ চার সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই ১৬ টি পুরসভাকে অতি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পুরসভাগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে কামারহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, দমদম, বিধান নগর, নৈহাটি, উত্তরপাড়া, বারাসত, অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা রয়েছে তেমনি রয়েছে হাওড়া, শ্রীরামপুর, বালি, বরাহনগর, পানিহাটি, বারাকপুর, রাজপুর সোনারপুর প্রভৃতি পুরসভা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সমস্ত পুরসভাগুলির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি পুরসভায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আবার অন্যান্য পুরসভাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় একই রয়েছে বা কমেছে।
এরমধ্যে বিধাননগর পুরসভায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে কমেছে। বর্তমানে সেখানে ২০০০ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, বারাকপুর, নৈহাটি অশোকঘর কল্যাণগড়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। আবার পানিহাটি, দমদম, বরাহনগর, কামারহাটিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। যার মধ্যে হাবড়া, গুমা, বনগাঁয় সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। উত্তর চব্বিশ পরগনার পাশাপাশি নদিয়াতেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে। নদিয়ার হরিণঘাটা ও রানাঘাটে ডেঙ্গি সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া ও হুগলি মিলিয়ে ৪২,০৫০টি বেসরকারি মালিকানাধীন জায়গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্য সচিবের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত নির্মীয়মাণ বাড়ি এবং বহুতলের ছবি তুলে গুগল ফর্মে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।