কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির আনা বিজেপির দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদনের শুনানি শেষ হল। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই শুনানিতে হাজির ছিলেন, দুপক্ষের আইনজীবীরা। মুকুল রায়ের আইনজীবীর দাবি, গত ১১ জুন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন মুকুল রায়।
এর আগে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষকে তাঁর রায় জানানোর জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। অধ্যক্ষের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এর পর অধ্যক্ষকে রায় পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত জানায় আইনি জটিলতার বাইরে গিয়ে মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের যে ফুটেজ দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রয়েছে তা বৈধ বলে বিবেচনা করতে হবে।
এদিনের শুনানিতে মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারী কেউ বিধানসভায় হাজির ছিলেন না। শুভেন্দুর আইনজীবী ফুটেজ দেখিয়ে ফের দাবি করেন, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পালটা ৬৫ বি ধারার দোহাই দিয়ে ওই প্রমাণ গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেন মুকুলের আইনজীবীরা। বলেন, গত বছর ১১ জুলাই পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। স্ত্রী বিয়োগের পর তখন হতাশায় ভুগছিলেন তিনি।
এই মামলায় আগামী ৬ মে ফের দুপক্ষ তাদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার। ৯ মে নিজের রায় পুনর্বিবেচনা করে মুকুল রায়ে বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।