সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সাংসদরা বলছেন যে প্রশ্নোত্তর পর্ব না হওয়া গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। এই নিয়ে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নোত্তর পর্বের কোনও পাট রাখেননি সময় নেই এই অজুহাত দিয়ে। এই নিয়েই এবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এটা আসলে তৃণমূলের দ্বিচারিতা।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে লিখিত প্রশ্নের সুযোগ পাবেন সাংসদরা বাদল অধিবেশনে। কিন্তু তাতে খুশি নন ডেরেক। তিনি বলছেন যে মন্ত্রীরা কেন দাঁড়িয়ে উত্তর দেবে না সাংসদদের প্রশ্নে। আমাদের ভিক্ষা দিয়ে লাভ নেই, এটা সংসদ, গুজরাত জিমখানা নয়, টুইটে বলেন তৃণমূল মুখপাত্র।
এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন যে তৃণমূল দুই দিনের বিধানসভা অধিবেশনে মানুষের প্রশ্ন শুনতে চায় না। সেই কারণেই প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জয়প্রকাশবাবু বলেন যে বঙ্গে শুধু নিয়ম রক্ষার্থে অধিবেশন ডাকা হচ্ছে, যেহেতু নিয়ম আছে যে প্রতি ছয় মাসে অধিবেশন বসতে হবে। এই মুহূর্তে জ্বলন্ত বিষয় যেগুলি যেমন আমফান ত্রাণে দুর্নীতি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, সেই নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও আলোচনা চায় না বলেই অভিযোগ বিজেপি নেতার। তাঁর মতে এটি তৃণমূলের দ্বিচারিতার উদাহরণ।
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকার জানান নি যে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। তবে তাদের কাছেও এই খবর সূত্রের মাধ্যমে এসেছে বলে তিনি জানান। সুজনবাবু বলেন যে ৮ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক করবেন স্পিকার।
বিতর্কের মুখে অবশ্য কোভিডের কথাই তুলে ধরছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান যে মহামারীর জেরে খুব বেশি দিনের অধিবেশন করা সম্ভব না। সেই কারণেই এবার আর প্রশ্ন-উত্তরের পালা রাখা গেল না।
এদিন স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন যে বিধানসভায় প্রবেশ করার আগে সবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। করোনা নেগেটিভ হলেই প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
বিধায়কদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ও নিজেদের নির্দিষ্টি স্থানে বসতে হবে। বয়স্কদের প্রধান হলে বসতে হবে ও নবীনরা গ্যালারিতে বসবেন বলে তিনি জানান। গাড়ি মূল চত্বরে আনা যাবে না ও এবার কোনও অতিথি আসতে পারবেন না অধিবেশন দেখতে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ।