একুশের নির্বাচনে দুয়ারে সরকার একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এখন হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাখির চোখ শিল্প এবং কর্মসংস্থান। তাই শুধু সরকারি পরিষেবা দুয়ারে পৌঁছে দিয়েই ক্ষান্ত থাকবে রাজ্য সরকার। এবার বেকার যুবক–যুবতীদের চাকরির দিশাও দেখাবে ‘দুয়ারে সরকার’। এই উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা দফতর।
কিভাবে তা সম্ভব হবে? জানা গিয়েছে, এবার যুবক–যুবতীদের নানা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই জানুয়ারি মাস থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং। এমনকী কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পরে আরও সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’
দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন বাংলার মানুষ। তখন অনেকে প্রশ্ন তোলেন এভাবে কী চাকরির দিশা দেওয়া যায় না? তারপরই কারিগরি শিক্ষা দফতর ‘আমার কর্মদিশা’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে যুবক–যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির উপযোগী করে তোলা হবে। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে থাকা কর্মীরা এই অ্যাপের সাহায্যেই কর্মসংস্থানের ব্যাপারে জানাবেন। প্রতিটি জেলার দায়িত্বে থাকছেন একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার।
দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে চাকরির দিশা নিয়ে মন্ত্রী জানান, একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে এই উদ্যোগে সামিল করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেবে তারাই। যাঁরা প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁদের কোনও টাকা জমা দিতে হবে না। বরং সংশ্লিষ্ট সংস্থাই তাঁদের ভাতা হিসেবে কিছু টাকা দেবে। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ হলে কাজের নিশ্চয়তাও থাকছে।