রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে দুটি ক্যাটেগরির মধ্যে ‘জি’ ক্যাটাগরিতে ভোট গণনা শেষ হলেও ‘এইচ’ ক্যাটাগরিতে গণনা এখনও চলছে। ‘জি’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ শিক্ষক চিকিৎসকদের ক্যাটাগরিতে সাতটি আসনের মধ্যে সবকটিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল সমর্থিত চিকিৎসক প্রার্থীরা। অন্যদিকে, তিন দিন ধরে ‘এইচ’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ চিকিৎসকদের ক্যাটাগরিতে ভোট গণনা শেষই হচ্ছে না। এই ক্যাটাগরিতে ২৬ হাজার ৭০০ মতো ভোট পড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এই অবস্থায় ব্যালটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী চিকিৎসকদের সংগঠন। অবিলম্বে তারা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট বাতিলের দাবি জানালেন।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে জয়ী শাসক দল, গণনায় কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের
তিন দিন ধরে ভোট গণনা চলার পরও কেন শেষ হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও শাসকদল সমর্থিত চিকিৎসক প্রার্থীদের বক্তব্য ভোট গণনার কাজে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। সেই কারণে দেরি হচ্ছে। তবে সেই দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং জাল ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর ফোরামের দাবি, অনেক জাল ব্যালট এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। আরও জাল ব্যালট হয়ত রয়েছে। তাদের অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসারের ছাপানো নামের সঙ্গে একটি নামও মেলেনি। ১১ নম্বরে যে নামটি রয়েছে সেটি বাদ হয়েছে এবং এক নম্বরে থাকা নামটি দুবার ছাপা হয়েছে। নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ব্যালট কাউন্সিল অফিস থেকে ছাপানো হয়নি।
এর পাশাপাশি বিরোধীদের দাবি, তিন রঙের ব্যালট পেপার পাওয়া যাচ্ছে। যত সংখ্যক ব্যালট কাউন্টিং হচ্ছে তার অর্ধেকেরও বেশি জাল হওয়ার কারণে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘আমরা সকল জাল ব্যালট গুলি ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে এই সকল জাল ব্যালটের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি। এই নির্বাচন প্রহসন মাত্র। এই অবৈধ এবং অগনতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।’