রাজনৈতিক নেতা নয়, সম্পূর্ণ মানবিকতার টানেই পার্ক সার্কাসের প্রতিবাদীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পালনিয়াপ্পন চিদম্বরম।
দিল্লির শাহিনবাগের আদলেই এই নিয়ে ১২ দিন ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অবস্থান চলেছে পার্ক সার্কাস ময়দানে। দীর্ঘ দিন দাবি জানানোর পরে প্রতিবাদীদের জন্য আচ্ছাদন, পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে কলকাতায় এসে প্রথমেই প্রতিবাদীদের সঙ্গে দেখা করতে পার্ক সার্কাস ময়দানে পৌঁছন চিদম্বরম। গণঅবস্থানে শামিল প্রধানত শামিল হয়েছেন যে সমস্ত মুসলিম মহিলারা, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। জানান, নিতান্ত মানবিক কারণেই তিনি উপস্থিত হয়েচেন। কংগ্রেস নেতার এই ঝটিকাসফর সম্পর্কে জানানো হয়নি সংবাদমাধ্যমকে।
সিএএ, এনআরসি ও এনআপিআর বিরোধী এই লাগাতার বিক্ষোভ অবস্থানে শামিল হয়েছেন পড়ুয়া, গৃহবধূ, এমনকি প্রবীণ নাগরিকরাও। চিদম্বরমের আগে পার্ক সার্কাসের প্রতিবাদী অবস্থানে এসে তাঁদের সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন সমাজ আন্দোলনকর্মী যোগেন্দ্র যাদব এবং সংগীতশিল্পী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন।
গত ডিসেম্বর মাসে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢল নেমেছে। কলকাতা-সহ সারা বাংলায় তার ঢেউ এসে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই তিন নীতি প্রয়োগের বিরোধিতা করে পথে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
বিরোধীদের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিভাজনভিত্তিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধানবিরোধী। প্রান্তিক দেশবাসীর পক্ষে বিস্তারিত নথি পেশ করা সম্ভব হবে না বলে এনআরসি এবং তার সঙ্গে এই আইন বিপজ্জনক বলে তাঁরা মনে করছেন।
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বার বার জানানো হয়েছে, দেশষবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশেই আইন তৈরি হয়েচে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে ভীতি দূর করতে সম্প্রতি জনসচেতনামূলক প্রচার শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।