দু’দিন আগেই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিধানসভা থেকে তাঁকে দেওয়া গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ট্রেজারি বেঞ্চে মন্ত্রীরা যেখানে বসেন, সেখান থেকেও সরানো হচ্ছে তাঁর আসন। এই ট্রেজারি বেঞ্চে এতদিন পার্থবাবুর আসনটি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশে। এবার সেই আসনে কে বসবেন? বিধানসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে সম্ভবত পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমই মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসতে চলেছেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? বিধানসভায় নতুন এবং বিদায়ী মন্ত্রীদের সদনকক্ষে বসার আসন পুনর্বণ্টনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেই মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই হওয়া পার্থবাবুর আসন সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া এতদিন ফিরহাদ হাকিমের আসন নির্দিষ্ট ছিল। তাই আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গাটি ফিরহাদ হাকিমের জন্য বরাদ্দ করার কথা ভাবা হয়েছে। আর ফিরহাদের জায়গায় আসতে পারেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এখন নতুন মন্ত্রী যাঁরা হয়েছেন তাঁদের জায়গা দিতে হবে। আর যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁদের আসন সরাতে হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে, মন্ত্রিসভায় রদবদলের জেরে বিধানসভার বিভিন্ন কমিটিও পুনর্বিন্যাস করতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভার ৪১টি কমিটিতে মন্ত্রীরা ঠাঁই পান না। তাই যে আটজন বিধায়ক নতুন মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের এবার সেইসব কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিদায়ী মন্ত্রীরা সাধারণ বিধায়ক হয়ে যাওয়ায় এবার তাঁরা কমিটির সদস্য হতে পারবেন।
তাহলে পার্থের কী হবে? অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও বিধায়ক। মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি সাধারণ বিধায়ক। সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কোনও কমিটিতে রাখা যেতেই পারে। পার্থবাবুকে কোন কমিটিতে রাখা হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নেবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পার্থবাবু আর কবে বিধানসভায় আসতে পারবেন তা নিয়ে সন্দিহান শাসক–বিরোধীরা।