শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি। আর এই নিয়োগ দুর্নীতিতে পদ অনুযায়ী টাকা দিতে হয়েছিল বলে দাবি ইডি’র। তাঁরা তদন্তে নেমে এমন সব তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এই খবর এখন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেট কার্ডের প্রসঙ্গ তোলেন নরেন্দ্র মোদী। আসলে পদ অনুযায়ী টাকা দেওয়ার বিষয়টি রেট কার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? রোজগার মেলায় নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধেছেন ‘ক্যাশ ফর জব’ কথাটির উল্লেখ করে। একইসঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘কিছুদিন ধরে আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন, কেমন করে ‘ক্যাশ ফর জব’–এর ঘটনা ঘটেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরির ঘটনা সামনে এসেছে। যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁর মতো সরকারি চাকরির নানা পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চাকরির নামে এমনভাবেই লুট করছে যুবসমাজকে।’ এই মন্তব্যের পরই টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি সরাসরি প্রচারে নামেননি। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি প্রচারে না নেমে এভাবেই নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন। তাতে একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারও হল, অন্যদিকে তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ কারা সেটাও বুঝিয়ে দিলেন। টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ এই রাজ্যে উঠেছে। আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠুকতে তিনি বললেন পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির কথা। সুতরাং নাম না করলেও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য গায়ে মেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রতিবাদ অভিষেকের টুইট।
ঠিক কী লিখেছেন টুইটে? এসব কথা একদম বরদাস্ত করতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপির মধ্যেও যে পরিবারতন্ত্র আছে সেটা উল্লেখ করে টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে একাধিক ছবির কোলাজ করে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। যাঁদের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন তাঁরা এখন মোদী জমানায় নানা বিশেষ পদে বসে রয়েছেন। বিজপি নেতা থেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। আর সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি, কখনও কখনও মানুষের নিজেরই নিজের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কী প্রচার করবেন দয়া করে তার সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।’