সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। এবার হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ফলক বসানো হবে। এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সবাই।
সম্প্রতি হেরিটেজ কমিশনের তরফে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে হেরিটেজ সম্মান দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে হেরিটেজ ঘোষণা করে ফলক বসানো হবে। বাংলা, ইংরেজি - দুই ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখা থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৮২৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন এটি সংস্কৃত কলেজ নামে পরিচিত ছিল। এই সংস্কৃত কলেজেই এক সময়ে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ১৮৫৮ সালে তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর জায়গায় অধ্যক্ষের দায়িত্বে আসেন দীনবন্ধু শর্মা।
স্বাধীনতার পর এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে সংস্কৃত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত, পালি ভাষা, ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাস-সহ নানা বিষয়ে স্মাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়। বিদ্যাসাগরের সময়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভূত সংস্কার সাধন হয়েছিল। ইংরেজি পুনরায় চালু করা হয় ও গণিত বিষয়টি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে কলেজের মূল ভবনটিকে সাময়িকভাবে যুদ্ধকালীন হাসপাতাল ও শুশ্রুষা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল।