ফের মাস্টারস্ট্রোক দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে আরও বেশি করে মহিলাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নিয়মে সরলীকরণ করল রাজ্য সরকার। আর চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে এটাকেই মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন অনেকে। নিয়ম ছিল, এই প্রকল্পের সুবিধা হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং জাতিগত শংসাপত্র (তফসিলি/আদিবাসী) পেশ করতে হবে। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কাউকে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। যদি কেউ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
কেন এমন সরলীকরণ করা হল? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের মূল নথি ধরা হয়েছিল স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডকে। তারপর তার সঙ্গে দিতে হবে আধার কার্ড এবং যাদের জাতিগত শংসাপত্র থাকবে তাদের তা পেশ করতে হবে। এই নথি অনেকেই দিতে পারছিলেন না। ফলে প্রচুর আবেদন অসম্পূর্ণ পড়ে থাকছিল। তাই এই নিয়মে সরলীকরণ আনা হয়েছে।
সুতরাং নথি এখন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারও যদি কোনও একটা নথি নাও থাকে আর সরকার যদি আবেদনপত্র দেখে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহিলা যোগ্য তাহলে তিনি পাবেন এই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের প্রকল্পের সুবিধা। আজ এই নির্দেশিকা জারি করেছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত মহিলারা দু’মাসের টাকা পেয়ে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এটাকে প্যাঁচা ভাণ্ডার বলে কটাক্ষ করেছেন। বৃহস্পতিবারই এক কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রাপকের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লাখ মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।