পরপর মামলা, সিবিআই তদন্ত মিলে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। তবে এবার এরই মাঝে ফের একবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, গতবছর থেকে রাজ্য সরকাররে তরফে চালু করা হয়েছিল উৎসশ্রী প্রকল্প। এরপর থেকেই গ্রামবাংলার বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষক কমার প্রবণতা দেখা দেয়। এদিকে এসএসসি বহুকাল ধরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করেনি। এই আবহে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির বেহাল দশায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অন্ধকার হচ্ছে। তাই খুব শীঘ্রই স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করতে চাইছে রাজ্য।
এদিকে অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পাশাপাশি সরকারি স্কুলেও শেষ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল গত ২০১৬ সালে। তাছাড়া ২০১৫ সালের পর সরকারি স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়। এই আবহে সরকারি স্কুলেও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা কমছে। তাই সরকারি স্কুলেও বিভিন্ন পদে নিয়োগ চালু করতে বদ্ধপরিকর সরকার।
আরও পড়ুন : SSC মামলায় বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে চিঠি! চক্রান্ত দেখছেন মামলাকারী
এদিকে এসএসসি নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশমের শিক্ষক হিসেবে ‘ভুয়ো’ নিয়োগ পাওয়া সবার চাকরি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নতুন করে চাকরিতে নিয়োগ করতে প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হাই কোর্টে এসএসসি দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই কীভাবে ভুয়ো চাকরি বাতিল করে নতুনদের নিযুক্ত করা যায়, সেই বিষয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নবান্ন তরফে শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ভুয়ো নিয়োগ চিহ্নিত করে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের নীতিগত পদক্ষেপের এটাই প্রথম ধাপ হতে চলেছে।