কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা করেছিল, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা রোগীকে ফেরানো যাবে না। আর যে খরচের হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত অর্থ রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল বেডের ভাড়া বেশি নিয়েছে। আবার কেউ ওষুধে ছাড় দেয়নি। এই বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে। আর তা খতিয়ে দেখে সাত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য কমিশন।
করোনাভাইরাসের আবহে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ম না মানায় শাস্তির কোপে পড়েছিল। এবার নতুন করে আরও সাতটি হাসপাতালকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কোনও বিষয় ঘটেনি। জানা গিয়েছে, চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে ২০২০ সালে অ্যাডভাইসরি জারি করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। যা মানেনি এই বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
কারা রয়েছে এই নিয়ম না মানার তালিকায়? স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে খবর, এই তালিকায় রয়েছে ভবানীপুরের মাইক্রোল্যাব, সল্টলেক সেবা হাসপাতাল, টালিগঞ্জের আরোগ্য হাসপাতাল, রাণীগঞ্জের রয়্যাল কেয়ার হাসপাতাল, উত্তরপাড়ার উই কেয়ার এবং যাদবপুর, চিংড়িঘাটার দুই বেসরকারি হাসপাতাল। ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আওতায় চিকিৎসা করেনি এই বেসরকারি হাসপাতাল। আর হাসপাতালের বক্তব্য, স্কিমের আওতায় যতগুলি বেড তার সবই ভর্তি থাকায় পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোগীকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় হাসপাতাল। আবার অতিরিক্ত বিল নেওয়ায় মূল বিল থেকে আরও ৯৫ হাজার টাকা কমাতে হবে তাদের। এমনকী প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্যেও কমিশনের বেঁধে দেওয়া অর্থের থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে হাসপাতাল বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরে রোগীকে ২৩৫ টাকা ফেরত দিতে বলেছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। এই পদক্ষেপে চাপে পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।