নন্দীগ্রামে একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সামান্য ভোটে হলেও হারতে হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। যদিও সেই ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। আর তাই এখন ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে পদত্যাগ করেছেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এখন সেখানে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এখানে কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর আলোচনা চলছে। বিভ্রান্তিও স্পষ্ট হচ্ছে। ভোটে যাবে, না আইনি পথে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করবে তা নিয়েও দোটানা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, যদি দল বললে নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে প্রস্তুত।
তাই এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আবার কী মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু প্রার্থী হবেন? নাকি এটা শুধুই কথার কথা? তৃণমূল কংগ্রেস ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ভবানীপুরে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন। বিজেপি এখনও ভবানীপুরের প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। মঙ্গলবার বিজেপি এই নিয়ে বৈঠকে বসবে। সুতরাং প্রধান বিরোধী দল এখনই ব্যাকফুটে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই উপনির্বাচন চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, ‘লোকাল ট্রেন চলছে না। বাজার–হাট বন্ধ। বিধিনিষেধ আছে। রাতে কার্ফু আছে। নির্বাচন কমিশন কী করে মেনে নিচ্ছে যে, নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ আছে? পুরসভার নির্বাচন হচ্ছে না।’ আবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মনে হচ্ছে,নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হয়ে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া। বাকি চার কেন্দ্রে যে কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করল না, সেখানকার জনগণের কী অপরাধ?’
এই বিষয়ে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন। তাই এসব বলছে। যে ক’টা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা, সব ক’টাতেই আমরা ভোট চাইছি। নির্বাচন কমিশন সব দলের কথা শুনে তার পরে এই সময়ে ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। এতে বিজেপি নেতাদের এত গায়ের জ্বালা কেন? নির্বাচন কমিশন কাউকে দয়া করছে না।’