এমনটাও হয়। চারুচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের উপর একটি বাড়ির বড়ঘরে পাঁচজন পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন। এদিকে তার মধ্যে ইশাক নামে এক যুবক ছাড়া বাকি চারজনই ছাত্র। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা দেখেন দুটি ল্যাপটপ, ল্যাপটপের ব্যাগ, মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ঘরের ভেতর যে ল্যাপটপে আগের দিনও কাজ হয়েছে সেই ল্যাপটপ যাবে কোথায়? চোরই বা কোথা থেকে ঘরে ঢুকবে? এর সঙ্গেই ওই ল্যাপটপেই নানা নথি রয়েছে। সেসব মিলবে কোথা থেকে? একেবারে হতবাক হয়ে যান ছাত্ররা। সাতপাঁচ ভেবে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্র। তিনি ভবানীপুরের একটি কলেজের ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। আদতে সফিউল্লা খান নামে ওই ছাত্র বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বাসিন্দা।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু বাড়ির ভেতর থেকে এগুলি নিল কে?একে একে সকলকে জেরা শুরু করে পুলিশ। কিন্তু ইশাকের কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ জানতে পারে সে ওয়াটগঞ্জের নাজির লেনের বাসিন্দা। তার মোবাইল ও ল্যাপটপের দোকানও রয়েছে। তবে পুলিশকে সে জানায় বাড়িতে রাগারাগি করে সে পেয়িং গেস্ট থাকছে।
শেষপর্যন্ত পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে সে। চুরির কথা স্বীকার করে নেয় ইশাক। পুলিশ জানতে পারে ভোররাতে সে ঘর থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল নিয়ে গ্যাংয়ের অপর এক সঙ্গীর হাতে তুলে দিয়েছিল। এভাবে পেয়িং গেস্ট সেজে আবাসিকদের সামগ্রী চুরির কাজ চালাচ্ছিল ওই গ্যাং। পুলিশ ইতিমধ্যে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।