এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন সিবিআই তদন্ত চলছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে সেই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার বাদল অধিবেশনে শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বিধায়কদের করতে নিষেধ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর। তাহলে কি শিক্ষা বিষয়ক প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস? দলীয় বিধায়কদের কাছে ফোন–বার্তা পৌঁছতেই উঠেছে প্রশ্ন।
কেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে? বিধানসভা সূত্রে খবর, এবার বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ১০ জুন। সেক্ষেত্রে হাতে আর পাঁচদিন। এই অধিবেশনে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বদলের বিল আনার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে বিধায়কদের বলা হয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর–পর্বে করার দরকার নেই।
কিন্তু বিরোধী দল কী করবে? বিধানসভার বাদল অধিবেশন বিজেপি বয়কট করতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল আনা হবে তাঁরা জানেন। তাই অধিবেশনে তাঁরা থাকবেন না বলেই কৌশল নিয়েছেন গেরুয়া বিধায়করা। সুতরাং শাসকদলের বিধায়করা এমন কোনও প্রশ্ন না করলেই ক্লিন সুইপ হবে বাদল অধিবেশন।
ঠিক কী পরিস্থিতি বিজেপির? কয়েক মাস আগে বাজেট অধিবেশনে গোলমাল করে বিরোধী দলনেতা–সহ বিজেপির সাত বিধায়ক এখনও ‘সাসপেন্ড’। ফলে বিরোধী হিসাবে তাঁরা সেখানে বিশেষ কিছু করতে পারবে না। তাছাড়া এখন বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের বিধায়করা স্বভাবতই চাপে রাখবে বিরোধী দলকে। আর বিরোধী দল যদি উপস্থিত না থাকে তাহলে ক্লিন সুইপ।