Same Sex Marriage: সকলেরই পছন্দের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে বল অভিষেক

সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে শুনানির মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, ভালোবাসার কোনও ধর্ম, গণ্ডি নেই। ভালোবাসা সীমাহীন। তাই প্রত্যেকেরই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। কোনও পুরুষ চাইলে অপর কোনও পুরুষের সঙ্গে সংসার বাঁধতে পারেন।

সমলিঙ্গে বিবাহের প্রতি সমর্থন উজাড় করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির মধ্যেই সমলিঙ্গে বিবাহের প্রতি সমর্থন উজাড় করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ভালোবাসার কোনও ধর্ম, গণ্ডি নেই। ভালোবাসা সীমাহীন। তাই প্রত্যেকেরই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। কোনও পুরুষ চাইলে অপর কোনও পুরুষের সঙ্গে সংসার বাঁধতে পারেন। কোনও মহিলা চাইলে অপর কোনও মহিলার সঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেইসঙ্গে তাঁর আশা, ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং বৈচিত্র্যের ধারা বজায় রেখেই সমলিঙ্গ বিবাহের মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। 

সমলিঙ্গ বিয়ের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার অভিষেক বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমার মতে, প্রত্যেকেরই নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। ভালোবাসার কোনও ধর্ম হয় না। ভালোবাসার কোনও সীমা থাকে না। ভালোবাসার কোনও গণ্ডি নেই। তাই আমি যদি নিজের মনের মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতে চাই, (তাহলে সেটা যেন করতে পারি)।’ 

অভিষেক আরও বলেন, ‘আমি যদি পুরুষ হই এবং অপর এক পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হই, আবার আমি যদি মহিলা হই ও অপর এক মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হই - সেটা যাই হোক না কেন, সেটা নিয়ে মন্তব্য করার আমার কোনও অধিকার নেই। তবে আমি মনে করি, প্রত্যেকেরই ভালোবাসার অধিকার আছে, নিজেদের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। আমি আশাবাদী, আমরা যে গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং যে বৈচিত্র্য গর্ববোধ করি, সেটার পক্ষে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।’

সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

ভারতে সমলিঙ্গ বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে একগুচ্ছ পিটিশন দাখিল হয়েছে, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতে শুনানি চলছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সওয়াল করা হয়েছে যে সমলিঙ্গ বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষমতা আইনসভার (সংসদ) আছে। আদালতের হাতে সেই সংক্রান্ত ক্ষমতা নেই।