টাইম ফর প্যাক আপ! মদনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু নতুন জল্পনা

অনুরাগীদের অনেকেই তাঁর আগাম পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলে এই মন্তব্যের ভিন্ন তাৎপর্য খুঁজতে উৎসুক হয়ে ওঠেন। নিতান্ত অচেনাদের থেকেও মদনের উদ্দেশে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্ন।

ফেসবুকে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের পোস্ট ঘিরে শুরু হল জল্পনা।

শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে অনিশ্চয়তার মাঝেই ফের তোলপাড় তৃণমূল শিবির। এবার ফেসবুকে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের পোস্ট ঘিরে শুরু হল জল্পনা।

গত শনিবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে মদল লেখেন, ‘টাইম টু প্যাক আপ’। আচমকা নেতার এ হেন পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়ার মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা ছড়ায়। অনুরাগীদের অনেকেই তাঁর আগাম পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলে এই মন্তব্যের ভিন্ন তাৎপর্য খুঁজতে উৎসুক হয়ে ওঠেন। নিতান্ত অচেনাদের থেকেও মদনের উদ্দেশে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্ন।

এরই মধ্যে জল্পনা উসকে দিয়ে মদন মিত্র প্রশ্নের জবাবে পালটা প্রশ্ন ছোড়েন, ‘আরে প্যাকেট বোঝ, প্যাক আপ বোঝ না?’

পরে দীর্ঘায়িত মন্তব্য করেন, ‘জাহাজেও চড়িনি, চপারেও নামিনি। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, হোঁচট খেতে খেতে এই জায়গায় এসেছি।’

একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ‘মদন মিত্র শের। শের কখনও চুহা মেরে হাত-গন্ধ করে না।’

মন্তব্যের শেষাংশ আসলে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে শ্লেষোক্তি বলেই দাবি করছেন মদন অনুরাগীদের একাংশ। যদিও খোদ নেতা এই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বাংলায় গুঞ্জন বেড়েই চলেছে। তৃণমূলের সদ্যপদ বা বিধায়ক পদ এখনও না ছাড়লেও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী, তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা। আশা ছিল, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় হয়ত তৃণমূলের উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দেবেন বা নিজের দলবদলের জল্পনা বাড়িয়ে দেবেন নেতা। 

শেষ পর্যন্ত অবশ্য তার কোনওটাই হয়নি। উলটে স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদিনীপুরের অবদানই ফলাও করে প্রচার করেন শুভেন্দু। এই আবহে মদন মিত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনার পালে হাওয়া লাগল বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।