এবার বাংলার মানুষের প্রাপ্য আদায়ের দাবি নিয়ে নয়াদিল্লি যাওয়ার উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। দলের বিধায়ক–সাংসদ এবং সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাংলা থেকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য রেলের কাছে একটি স্পেশাল ট্রেনের আবেদন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০টি স্লিপার কোচ যুক্ত বিশেষ ট্রেন চাওয়া হয়েছে। তবে সংখ্যায় একটি। আর আবেদনে বলা হয়েছে, ওই ট্রেনে যেন খাবার ব্যবস্থা থাকে। এখন মিশন দিল্লি সফল করতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজধানীর বুকেই হবে আন্দোলন। এটা আগেই বলা হয়েছিল। এবার সেটা যাতে বাস্তবে রূপ পায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির বুকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। ১০০ দিনের কাজ করে যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে কর্মীদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি মেলেনি। তাই কিছু মানুষকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানের বঙ্গভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতায়াতের জন্য একটি স্পেশাল ট্রেন রেলের কাছে চাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী আবেদন করা হয়েছে? তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে ট্রেন হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি যাবে। আর কলকাতায় ফিরবে ৩ অক্টোবর। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী রেলের কাছে এই চিঠি পাঠান। রেলের পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়েছে। রেলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ আনুমানিক খরচ দিতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা। সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ দিতে হবে ১১ লক্ষ টাকা। ওই ট্রেনে মোট ২২টি কোচ থাকবে। বাকি তথ্যও রেল জানিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই ট্রেনে যাঁরা যাবেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে যাবেন কো–অর্ডিনেটর।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের উপর ‘নজরদারি’! তিন পুলিশ কর্মীকে সরানোর সুপারিশ করল রাজভবন
আর কী জানা যাচ্ছে? একশো দিনের কাজের টাকা না দিয়ে যে বঞ্চনা বাংলার মানুষকে করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে নয়াদিল্লিতে আন্দোলন চলবে। আর তখন বাংলাতেও কর্মসূচি করবে তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গজননী বাহিনী। গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান, পথসভা করা হবে। এই বিষয়ে বঙ্গজননী বাহিনীর সভানেত্রী মালা রায় বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার কর্মসূচি নিয়েছি। আসন্ন শারদ উৎসবে মানুষের পাশে থাকা এবং লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্যকে ব্যাপক প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’