বাংলায় ফিরে স্বমহিমায় সক্রিয় হয়ে উঠতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশে গিয়েছিলেন চোখের চিকিৎসা করতে। রবিবার ফিরেছেন তিনি। আর সোমবার থেকেই নিজের কর্মসূচি থেকে শুরু করে দলের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মাসের শেষে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। শুধু তাই নয়, আবার তিনি রাজ্যের বাইরে যাচ্ছেন। তাও আবার খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সুতরাং একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এখানে বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে বাম ছাত্র সংগঠনকে আগেই দুষেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনও তিনি বক্তব্য রাখবেন। সুতরাং আবার নতুন কোনও সিদ্ধান্তের কথা শোনা যাবে ওই মঞ্চ থেকে। এখানে থাকবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার।
অন্যদিকে তারপর ৩০ অগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে যাবে অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সেখানে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক বসতে চলেছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন শীর্ষ নেতা–নেত্রী। ইন্ডিয়া জোটের আগের দুই বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন মমতা–অভিষেক। আসলে লোকসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি সাজাতে শুরু করতে হবে। তাই সেখানে উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে দু’দিনের বৈঠক সেরে মুম্বই থেকে অভিষেক সোজা চলে যাবেন ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে। সেখানে প্রচারে যাওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীরও।
আরও পড়ুন: সরাসরি সংঘাতে জড়ালেন শুভেন্দু–অভিষেক, পরস্পরকে মনে করালেন পুরনো কথা
আর কী জানা যাচ্ছে? ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তারকা প্রচারকের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আছে। তবে তিনি কি প্রচারে যাবেন? এই নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে অভিষেকের সঙ্গে থাকবেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। আসলে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনকে সাংঘাতিক গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল ভাল হয়েছে। আর একটু খাটলে বিধানসভা আসনটিও মিলতে পারে। এখানের বিজেপি বিধায়কের অকাল প্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে এটাই সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে।