ভিকি হালদারের লক্ষ্য ছিল এই খুনের পর বিদেশে পাড়ি দেওয়া। তাই মু্ম্বইয়ে গা–ঢাকা দিয়েছিল সে। আর ভিকির সঙ্গী শুভঙ্কর এক যুবতীর প্রেমে পড়েছিলেন। জেরায় সে স্বীকার করেছে ওই যুবতীকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার জন্যই ভিকির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল সে। কারণ এই বিয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা ভিকি দেবে বলেছিল। রোজগার না থাকায় এই খুনে ভিকির সঙ্গী হয়েছিল সে। ভিকি পুরো বিষয়টি জানত বলেই শুভঙ্করকে ব্ল্যাকমেল করেছিল।
গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে দফায় দফায় জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও গাড়িচালক রবীন মণ্ডল খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারের দাবি, মা মিঠু হালদারের প্ররোচনায় এই খুন করেছিল সে। মা নিজে তার হাতে ধারালো অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করতে মা মিঠু হালদার ও ছেলে ভিকিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। এই ঘটনার পুনর্নির্মাণেরও প্রয়োজন বলে আদালতে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।
ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে অভিযুক্তদের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আর জেরায় ভিকি পুলিশকে জানিয়েছে, সুবীরবাবুর কাছে অনেক টাকা–গয়না আছে মনে করেই মা মিঠু সেপ্টেম্বর মাসে ডাকাতির ছক কষেছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় খুনের ছক কষা হয়।
এই খুনের ছক করার পর থেকে পরিকল্পনা হয় বলে জেরায় স্বীকার করেছে ভিকি। সেই মতো তৈরি করা হয় লোকজন। কাদের কত টাকা দেওয়া হবে, কিভাবে খুন করা হবে, খুনের পর কে কোথায় গা–ঢাকা দেবে তা ঠিক করা হয়েছিল। পরিকল্পনা মতোই কাজ হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয় ভিকি হালদার এবং শুভঙ্করকে।