রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ে হোর্ডিং পড়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। যে হোর্ডিং দিয়েছে শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। শুধু হোডিং নয়, শুরু হয়েছে সই সংগ্রহও। অধ্যাপক সংগঠনের দাবি, অবিলম্বের রাজ্যপাল আচার্য বিলে সই করুন। না হলে আগামী দিনে তাঁরা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলটি বিধানসভায় পাশ হবার পর প্রায় ১০ মাস ধরে রাজভবনে পড়ে রয়েছে। পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সময় সেই বিল পাশ হয়। কিন্তু রাজ্যপাল তাতে সই দেননি। তারপর ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে আসেন লা গণেশন। কয়েক মাস রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বে থাকেন। তিনিও কিন্তু এই বিলে সই দেননি। এর পর দায়িত্বে আসেন সিভি আনন্দ বোস। তিনিও এখনও পর্যন্ত এই বিলে সই করেননি। ফলস্বরূপ বিল এখনও রাজভবনের অন্দরেই পড়ে রয়েছে। রাজ্যপাল যদি সই না করেন তবে আগামী দিনে তাঁরা আন্দোলনের পথে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন।
যদিও রাজভবনে পড়ে থাকা আচার্য বিল নিয়ে সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি রাজ্যপালের উদ্দেশে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষার প্রসার যদি চান, তাহলে বিল আটকে না রেখে সই করে ছেড়ে দিন।' এই প্রসঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে বলেন,'সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী রাজ্যপাল অনন্তকাল ওই বিল আটকে রাখতে পারেন না। হয় সই করুন না হয় ফেরত পাঠান। বিধানসভায় তা আবার পাশ করানো হবে।'
রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স এনে এই বিল পাশ করাতে পারে। তবে কি রাজ্য সেই পরিকল্পনা করছে? এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অর্ডিন্যান্স তো আনাই যেতে পারে। জরুরি ব্যাপারে অর্ডিন্যান্স তো করাই যায়। পরের বিধানসভা অধিবেশনে তা পাশ করিয়ে নেওয়া যায়।'
তবে ওয়েবকুপা চাইছে অর্ডিন্যান্সের না এনে রাজ্যপাল দ্রুত বিলে সই করে দিন। সেই কারণে জনমত গড়ে তুলতে এই প্রচার বলেই জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংঠন চাইছে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবি নিয়ে ‘হোক জনরব’।