পুলিশের কাছে জমা রয়েছে ফোন। প্রেমিকাদের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে মন খারাপ শেখর ও শুভজিতের। জামিনে মুক্তি পেয়ে আপাতত মুর্শিদাবাদে পাড়ি দিয়েছে তারা। তবে প্রেম পরিণতি পাক, চান তাঁরা।
বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে হাজিরা দিয়ে মুর্শিদাবাদের পথ ধরেন শেখর ও শুভজিৎ। যাওয়ার আদে আদালত চত্বরে প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমরা মানুষ নই? আমারা কি ভালোবাসতে পারি না?’ তাঁদের স্পষ্ট কথা, প্রেমিকা অনন্যা ও রিয়ার সঙ্গে সংসার করতে চান তাঁরা। আইন মেনেই।
প্রেমিকার সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ করতে না পারায় মন খারাপ শেখরের। তিনি বলেন, জানি না ও কী করছে। শুনেছি বাপের বাড়িতে গেছে। আমার ফোন পুলিশ নিয়ে নিয়েছে। শুনেছি ওর ফোনও পুলিশের জিম্মায়। এখন ওর সঙ্গে যোগাযোগ করি কী করে? তবুও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাজে মন বসছে না। আমি হাওড়ায় আর যেতে চাই না। তবে ওর সঙ্গে ঘর পাততে চাই’।
আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এই মামলায় দুই বধূর স্বামীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা যদি মামলা মিটমাট করে নিয়ে বধূদের বিবাহবিচ্ছেদ দেন তাহলে প্রেমিকদের বিয়ে করতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তাঁরা মামলা চালিয়ে যান তাহলে কবে কী হবে বলা মুশকিল।