অবশেষে বুঝলেন তিনি। দেশজোড়া সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়ে বুঝলেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃত গণনার ব্যবস্থায় ভুল ছিল। সোমবার নবান্নে ভরা সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই কথাই বলেছেন মুখ্যসচিব রাজীব কুমার। বললেন, ভুল সংশোধন করা হচ্ছিল। তাই গত ৩ দিন জানানো হয়নি মৃতের মোট সংখ্যা।
এদিন মুখ্যসচিব বলেন, ‘কোভিড সংক্রান্ত রিপোর্টিংয়ের যে পদ্ধতি আমাদের ছিল তা খুব জটিল। আমাদের রিপোর্টিং সিস্টেম ঠিক ছিল না। ফলে বেশ কিছু তথ্য নথিভুক্ত হয়নি। এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। তবে এখন বুঝতে পারলাম সমস্যাটা কোথায় হয়েছে।’
এদিনই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৫৯। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতিদিন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানাবে রাজ্য সরকার। এতদিন শুধুমাত্র সেই দিন করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীনদের সংখ্যা জানাত রাজ্য।
সঙ্গে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, বেশ কিছু জায়গা থেকে তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছিল। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ঠিকমতো তথ্য মিলছিল না। সেই সব সমস্যা গত ৩ দিন ধরে মেটানো হয়েছে।
মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় যে গরমিল রয়েছে তা বুঝতে দেড় মাস লেগে গেল রাজীব সিনহা ও তাঁর দলের দুঁদে IAS-দের? না কি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে?
দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসতেই কেন একে একে বেরোতে শুরু হল তথ্য?
বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্য গোপন করার চেষ্টার দায় ঘুরিয়ে মাথায় নিলেন তাঁর প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচানোর জন্য প্রকাশ্যে রাজীব সিনহার মতো IAS-কে স্বীকার করতে হল ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল।’