যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন,' বিজেপি আমাদের প্রথম শত্রু, কিন্তু তা বলে তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে না।' কলকাতায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন ইয়েচুরি। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘২০১৬ থেকে বিরোধীরা নানা মিটিং করেছে যেখানে দিদি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং আমি ছিলাম। একাধিক খসড়া রয়েছে যেটা আমি তৈরি করেছি, দিদি সই করেছেন।’ আসলে আগামী দিনে বিজেপিকে হঠাতে সিপিএম তৃণমূলের হাত ধরবে কি না সেই প্রসঙ্গেই নানা প্রসঙ্গ টানেন ইয়েচুরি।
ইয়েচুরি বলেন, ‘রাজনীতি শুধু ভোট, ভোটের সময় জোট এসব নিয়ে নয়। বৃহত্তরক্ষেত্রে বিজেপিকে কেন্দ্রে পরাস্ত করার প্রয়াস চলবে।’ প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গও আনেন ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালেই জ্যোতি বসু বলেছিলেন কেরল, ত্রিপুরা, বাংলায় আমরা কংগ্রেসকে পরাজিত করব। কিন্তু কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে কংগ্রেসকে সমর্থন করব।’
এদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় মন দিয়েছে সিপিএম। সেখানে আবার সিপিএম নেতৃত্বকেও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে ২০২৩য়ের নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএম ত্রিপুরায় আসন সমঝোতা করবে কি না সেই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘ভোট এখন অনেক দূরে। ত্রিপুরায় আমরাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি। সেই লড়াইটা আমরা রোজ লড়ছি।’
এদিকে সূর্যকান্ত মিশ্র সহ একাধিক সিপিএম নেতা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিজেপি ও টিএমসির মধ্যে অংশীদারিত্ব রয়েছে এই বার্তাটি ঠিক ছিল না। এব্যাপারে ইয়েচুরির দাবি, ‘পরিস্থিতির বদল হয়েছে। আমাদের প্রধান নিশানা বিজেপি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধ লড়ব না।’ তবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, ‘আমরা বাংলায় সিপিএমের সমর্থন চাইছি না। ত্রিপুরাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়ব। সিপিএম ওদের দ্বিচারিতা নিয়েই থাকুক। তবু ভালো জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে ওরা আছেন।’