বুয়া ভাতিজার সঙ্গে ডিলটা কী হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র, এটা মানুষ জানতে চায়। এই ভাষাতেই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন বাবুল। তখনই তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, এবার কী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাবা ও ভাইকে সাংসদ পদ ছাড়তে বলবেন। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাবুল সুপ্রিয় কী বললেন না বললেন, তার ওপর মন্তব্য করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না। বুয়া–ভাতিজা (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়)–এর সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র কী ডিল হয়েছে, সেটা মানুষ জানতে চাইছে। সেটা জানার পরই আমি ওর প্রশ্নের উত্তর দেব।
উল্লেখ্য, আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফা দেওয়ার পর ওই কেন্দ্র ফের নির্বাচন হওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাবুল কী ফের তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। পাশাপাশি আরও একটি সম্ভাবনাও রয়েছে। বাবুলকে কী রাজ্যের কোনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দিতে চান তৃণমূল নেত্রী, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে। এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই পাল্টা মন্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।