রেশন দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। ফের একবার এই অভিযোগ করলেন ইডির হাতে গ্রেফতার বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। সঙ্গে এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, কী করে জেল হেফাজতে থাকাকালীন কাগজ ও পেন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁর বাড়ি সহ ৭টি ঠিকানায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর শংকর আঢ্য ওরফে ডাকুকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর SSKM হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। ঘর থেকে বেরনোর সময় তাঁর কাছ থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, টাকা লাগলে ডাকু ও শাহজাহান দেবে। তার পর থেকে ED হেফাজতে রয়েছেন শংকর।
শনিবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে আদালতে পেশের আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করায় ইডি। স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যাওয়ার সময় শংকর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি রেশন দুর্নীতির কিচ্ছু জানি না। আমি এক পয়সাও নিইনি। এটা একটা অভিযোগ। যার কোনও প্রমাণ নেই।’
এদিন ফের তিনি দাবি করেন, আমার কোনও মিল নেই। রেশনের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নেই। তাই এই দুর্নীতিতে আমি কী ভাবে জড়িত হতে পারি’? এর পরই তিনি বলেন, ‘হেফাজতে থাকাকালীন কী ভাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কাগজ কলম পেলেন সেটা দেখা হোক। তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
যদিও ইডির দাবি, এখনো পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন শংকর আঢ্য। তার মধ্যে অন্তত ৯ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতির। এর মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে দুবাইয়ে। বাংলাদেশ হয়ে বিদেশে টাকা পাচার করতেন শংকর।