কলকাতা এবং রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই তা প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। এ বার ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভাগুলি। বাতিল করা হয়েছে পুরকর্মীদের পুজোর ছুটি। শহরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গি প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করে চালু হয়েছে ‘ফিভার ক্যাম্প’।
শহরের তিনটি হাসপাতালে বাড়তি শয্যারও ব্যবস্থা করা করেছে। বিসি রায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। এ ছাড়া চার সরকারি হাসপাতালে চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার জন্য মশাবাহিত রোগের পরীক্ষা কেন্দ্র। সোমবার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও ব্যক্তির রক্তে ডেঙ্গির নমুনা ধরা পড়লেই করোনার মতো সেই তথ্য সরকারকে জানাতে হবে।
বুধবার নিমতৌড়িতে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘ডেঙ্গিটা বেড়েছে কয়েক জায়গায়। দেখে নিতে হবে। ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জন্য যে অ্যাডটা আছে, সেটা চালিয়ে যাও।’’
সামনেই দুর্গা পুজো। রাতের দিকে প্রচুর মানুষ রাস্তায় ঘোরাঘুরি করবেন। ফলে এই রোগের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকাগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।