ইয়েস ব্যাংকের সঙ্কটের পর প্রশ্নের মুখে ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সিস্টেম। অন্যদিকে সারা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। চিনে প্রকোপ কমলেও অন্য দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার প্রভাব। এর মধ্যেই রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যে রেশারেশির জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম পড়েছে ৩০ শতাংশ, যা গাল্ফ যুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি। এই সবের প্রভাবে ও বিশ্বজনীন মার্কেটের করুণ অবস্থার জেরে বেআব্রু ভারতীয় বাজার।
এদিন একসময় ২৪৬৭ পয়েন্টের ওপর ধসে যায় বিএসই। পড়ে একটু পরিস্থিতি শুধরোলেও ১৯৪১.৬৭ পয়েন্ট নিচে বন্ধ হয় সেনসেক্স। ৫.১৭ শতাংশ পড়ে ৩৫৬৩৪.৯৫ পয়েন্টে বন্ধ হয় বাজার। একটি শেয়ারের দর বাড়লেও দশটি শেয়ারের দাম কমছিল এদিন। এরমধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
বিএসই-র মতোই খারাপ হাল নিফটির। ৫৩৮ পয়েন্ট (৪.৯০ শতাংশ) কমে ১০৪৫১.৫০ পয়েন্টে বন্ধ হয় নিফটি।একসময় ৬৯৫ পয়েন্ট নিচে ছিল নিফটি সূচক।
সবমিলিয়ে লগ্নিকারীদের ৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বিয়ার মার্কেটে ক্ষতি রুখতে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করছেন লগ্নিকারীরা, ফলে হুহু করে পড়ে যায় বাজার। আস্থা হারিয়ে বিদেশি বিনিয়াগকারীরা হুড়মুড়িয়ে টাকা বার করে নিচ্ছেন বাজার থেকে। ফলে আরও জট পেকেছে সংকট।
এদিকে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কমপক্ষে ৪৩ জন ভারতে করোনায় প্রভাবিত। এরও বিরুপ প্রভাব পড়ছে বাজারে।