অনিশ্চিয়তায় রয়েছে ২০০-র বেশি বিএড কলেজ। মানদণ্ড পূরণ না করায় রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন পাবে না বিএড কলেজগুলি।এ প্রসঙ্গে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, " বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে বেশ কিছু বেনিয়ম ধরা পড়েছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ম হচ্ছিল ।
এবার আমরা কলেজগুলিতে এনসিটিই-র নির্ধারিত মানদণ্ডগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে কড়া মনোভাব গ্রহণ করেছি। মানদণ্ডগুলি না পূরণ করায় সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হচ্ছে না। "
আরও পড়ুন: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়া নিয়ম জারি করল ইউজিসি! নতুন নিয়ম বিধি কী কী
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬২৪ বিএড কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৬১০চি কলেজই বেসরকারি। এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এ বছর ৫ আগস্ট থেকে। এই প্রসঙ্গে ৩১ জুলাই সমস্ত মানদণ্ড সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার পুনর্নবীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ছিল।
তবে এদিন ৩৫০টির মতো কলেজ অনুমোদন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে বাকি ২৫০ বিএড কলেজের ভবিষ্যৎ প্রায় অনিশ্চিত। এতোগুলো কলেজের অনুমোদন না মেলায় প্রভাব পড়েছে বিএড এমএড কোর্সের আসনসংখ্যার উপরেও। গত বছর ৬২৪ বিএড কলেজ মিলিয়ে প্রায় ৫৩ হাজার পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিলেন। সেক্ষত্রে ২৫০ কলেজ অনুমোদন না পাওয়ায় বেশ অনেকটা আসন সংখ্যা কমবে।
আরও পড়ুন: বিদেশেও এবার আইআইটি! আফ্রিকার তাঞ্জানিয়ায় পড়ার সুযোগ আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের
তবে এবছর এতো কড়াকড়ি কেন? সে প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে একাধিক বার কলেজগুলিকে সুযোগ দেওয়া হলেও নিয়ম গুলি কিছুতেই মানতে চাইনি কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি। অসৎ ব্যক্তিদের অর্থ দিয়ে অ্যাফিলেশন পাওয়ার টোপেও অনেকে পা দিয়েছেন। এগুলো নজরে আসতেই এতো কড়াকড়ি করতে বাধ্য হয়েছে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।