দয়া করে মাইনে বাড়াবেন না, বারবার বেসরকারি স্কুলগুলিকে এই কথা বলছে রাজ্য সরকার। মাইনে না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক স্কুল। অন্যদিকে, অভিভাবকদের বোঝা কমানোর জন্য একেবারে সেশন চার্জ কমানোর পথে হাঁটল দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুল।
নব নালন্দা জানিয়েছে যে তারা সেশন ফি কমিয়েছে ১৮ শতাংশ। একই সঙ্গে সেটি ছয়টি ইনস্টলমেন্টে দেওয়ার বিকল্পও পাবেন গার্জেনরা। স্কুলের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে মহানগরীতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলির মধ্যে তাদের মাইনে অনেকের থেকেই কম। তবুও করোনার জেরে লকডাউনের ফলে অনেকেই আর্থিক দুরবস্থায় পড়েছেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই সেশন ফি ১৮ শতাংশ কমানো হল, বলে জানিয়েছে স্কুলটি। ইনস্টলমেন্টেও এই টাকা দেওয়া যাবে।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল জানিয়েছে যে এবছর তারা টিউশন ফি বাড়াবেন না। ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার কৃষ্ণা দামানি বলেছেন যে আপাতত মেইনটেনেন্ট ও ইলেকট্রিসিটি খাতে টাকা নেওয়া হচ্ছে না। জুন থেকে বাসভাড়া বাবদ যে টাকা নেওয়া হত, তার ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। স্কুল খুললে ফের পুরো টাকা নেওয়া হবে।
একস্ট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির জন্য সাউথ পয়েন্ট যে টাকা নেয়, সেটাও মুকুব করা হচ্ছে, কারণ আপাতত সেগুলি সংগঠিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
মাইনে বাড়াচ্ছে না ডিপিএস, নর্থ কলকাতাও। একই সঙ্গে প্রথম তিন মাসের জন্য শুধু পরিবহণ চার্জের ৫০ শতাংশ নেওয়া হবে। লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ, লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লসও ফি স্ট্রাকচার অপরিবর্তিত রাখছে। দুই স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর জানান অভিভাবকদের সমস্যা হলে, তারা সাহায্য করতেও প্রস্তুত। রামমোহন মিশন স্কুলও মাইনে বাড়াচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস।
তবে স্কুলগুলির দাবি যে তারা নিজে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বারবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার আবেদন করছেন বেসরকারি স্কুলগুলিকে মাইনে না বাড়ানোর জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছেন যে এখন যখন স্কুল চলছে না তখন লাইব্রেরি, কমপিউটার ল্যাব, ডেভেলপমেন্ট ফি ইত্যাদি নেবেন না। শুধু টিউশন ফি নিতে আবেদন করেছেন তিনি।
তবে কিছু স্কুলের প্রিন্সিপালের বক্তব্য যে কোনও টাকা না দিলে স্টাফেদের মাইনে দেওয়া হবে কোথা থেকে। মাইনে কমানোর জন্য উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিভাবকদের বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে গত দুই মাসে।