স্নাতক প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ানো হোক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এমনই আবেদন জানাচ্ছে বিভিন্ন কলেজ। কারণ অনেক অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভাবে রেজিস্ট্রেশনের কাজ করতে হলে মাঝ-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দরকার।
ডিসেম্বরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ দিয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে চলতি মাসের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন পর্ব শেষ করতে হবে। তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছে কলেজগুলিকে। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষদের একাংশের বক্তব্য, রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হয়েছে ১৩ নভেম্বরের পরে। এই অবস্থায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা শেষ করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলেছে অনলাইনে। কাগজে-কলমে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি। প্রথমে অফলাইনে নথি যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছিল। পরে, ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, ছাত্রছাত্রীদের কলেজে হাজির হওয়ার দরকার নেই। তাঁরা ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টেড’ বা স্ব-প্রত্যয়িত নথিপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দেবেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনলাইনেই যাচাই করতে হবে। ক্লাস শুরু হওয়ার পরে যদি দেখা যায় যে, কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর নথি ভুল, তা হলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে।
নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সময় যে-সব নথি দিয়েছিল, তা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-প্রত্যয়িত তথ্য চেয়েছে। তা ছাড়া যারা ভর্তি হয়েছিল, তাদের অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় পেলে রেজিস্ট্রেশনের কাজ ঠিকঠাক করা যাবে।’