আইটি সেক্টরে নতুন করে যেন বিপদের আভাস। কারণ গত ২৫ বছরে প্রথমবার মোট কর্মীসংখ্যা কমল সেখানে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দশটি বড় সংস্থার কর্মী তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি এমনটাই জানা গিয়েছে। সহযোগী সংস্থা লাইভ মিন্টের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই সেক্টরে কর্মরত কর্মীর সংখ্যা, গত ২৫ বছরে এই প্রথমবার কমল। ভারতের প্রথম দশটি আইটি সংস্থার মধ্যে নয়টি সংস্থায় কাজ করে ২০ লাখেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার। ছয়মাসের মধ্যে তাদেরই কর্মীসংখ্যা কমেছে রেকর্ডসংখ্যক। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের তথ্য তাই বলছে।
(আরও পড়ুন: মুখের ব্যাকটেরিয়া সাফ করতে চিবোতে পারেন আখ! জানুন আরও গুণাগুণ)
মিন্টের ওই তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বেশিরভাগ আইটি সংস্থাই কম কর্মীসংখ্যা নিয়ে আগামী ৩১ মার্চের নতুন আর্থিক বছরের কাজ শুরু করবে। প্রথম দশটি সংস্থার মধ্যে রয়েছে টিসিএস, কগনিজ্যান্ট, ইনফোসিস, এইচসিএল, উইপ্রো, টেকমাহিন্দ্রা, এলটিআইমাইন্ডট্রি, এমফ্যাসিস, পারসিসটেন্ট ও এল অ্যান্ড টি টেকনোলজি সার্ভিসেস। মিন্টের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মাঝামাঝি সময় এই সংস্থাগুলির কর্মীসংখ্যা ছিল ২,১৪১,৪০২। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর তা এখন ২,০৬৩,৮২৪। অর্থাৎ ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মী গত ছয় মাসে চাকরি খুইয়েছেন।
(আরও পড়ুন: মাদ্রাসা প্রধানদেরও স্কুল চালানোর পাঠ দেবে IIM জোকা, কবে শুরু প্রশিক্ষণ)
ঠিক কী কারণে কর্মীসংখ্যা কমাচ্ছে বড় বড় আইটি সংস্থাগুলি? লাইভ মিন্টের তথ্য জানাচ্ছে, সংস্থাগুলির ক্লায়েন্টরাও বর্তমানে খরচ কমাচ্ছে। ঘটনাক্রমে বেশিরভাগ ক্লায়েন্টরাই আমেরিকা ও ইউরোপের। সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে সুদের হার। এর ফলে খরচ কমানোর পথেই এগোচ্ছে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট। যার প্রভাব পড়ছে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলির উপরেও। খরচ কমাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগোচ্ছে সংস্থাগুলি। অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে একটা বড় মাপের অর্থসাহায্যে পৌঁছাচ্ছে দুই যুদ্ধে। যা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলছে তথ্যপ্রযুক্তির উপরেও। বর্তমানে ভারতের এই সেক্টর প্রায় ২৪৫০০ কোটি টাকা মূল্যের পরিষেবা রপ্তানি করে সারা বিশ্বে। তার উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআই আসার পর বেশ কিছু কাজই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে করে ফেলছে যন্ত্র। যার ফলে কমছে কর্মীর চাহিদাও। আপাতত আগামী মার্চ মাসের শেষেও একই হাল থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।