Bumrah trolls bazball: ‘কী হল, এখন তো আর মারছে না’, ইংরেজদের ধসের মধ্যে ব্যাজবলকে চরম কটাক্ষ বুমরাহের!

রাজকোটে ব্যাট হাতে ৪০ ওভার তাণ্ডব চালিয়ে হাওয়ায় ভাসতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে লিড হজম করেও ‘ডায়লগ’ চলছিল। আর সেইসব ‘ডায়লগবাজি’-তে ফুলস্টপ বসিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে চরম কটাক্ষ করলেন জসপ্রীত বুমরাহ। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

হাসিমুখে চরম ট্রোল বুমরাহের। (ছবি সৌজন্যে, এক্স ভিডিয়ো)

এই করব, ওই করব - রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসের ৪০ ওভার দারুণ খেলার পরে ইংল্যান্ড শিবির থেকে কম ‘ডায়লগ’ উড়ে আসেনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৫৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রার বোঝা নিয়ে খেলতে নেমে সেই ‘ডায়লগ’-র ‘ড’-টাও খুঁজে পাওয়া যায়নি রাজকোটে। তা নিয়ে ইংল্যান্ডকে তুমুল খোঁচা দিলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংরেজদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেই মুখে একগাল হাসি নিয়ে ভারতীয় তারকা হিন্দিতে বলেন, ‘অব তো মার হি নে রাহে হ্যা (এখন তো আর মারছে না)।' আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোপুরি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বুমরাহের কথা শুনে নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন যে এটা ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা মুহূর্ত। কেউ-কেউ আবার বলেছেন, ইস! বুমরাহ যদি ইংরেজিতে বলতেন, কী ভালোটাই না হত। তাহলে নিশ্চিতভাবে এটা বলা যেত যে তাঁর থেকে ভালো কেউ হাসিমুখে কোনওদিন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে পারেন না।

আর বুমরাহের যে কথা নিয়ে নেটপাড়ায় তুমুল হইচই চলছে, তা রাজকোটে তৃতীয় টেস্টের ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের একাদশ ওভারের শেষে বলেন ভারতের তারকা পেসার। একাদশতম ওভারের শেষ বলটা জো রুট ডিফেন্ড করার পরে আম্পায়ারের থেকে নিজের টুপি নিতে যাওয়ার সময় কোনও সতীর্থের উদ্দেশ্যে বুমরাহ বলেন যে ‘অব তো মার হি নে রাহে হ্যা (এখন তো আর মারছে না)।'

সেইসময় বুমরাহের মুখে একরাশ হাসি লেগেছিল। আর হাসি লেগে থাকারই কথা। কারণ ১১ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল তিন উইকেটে ২৮ রান। আউট হয়ে গিয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রান করা বেন ডাকেট। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন জ্যাক ক্রলি এবং ওলি পোপও। ক্রিজে সদ্য এসেছেন রুট এবং বেয়ারস্টো। প্রথম ইনিংসে যে রুটের একটা শটের পরই ইংল্যান্ডের ইনিংসে ধস নামে। আর বেয়ারস্টো এই সিরিজে একেবারেই ছন্দে নেই। যিনি বুমরাহের সেই মন্তব্যের পরের বলই আউট হয়ে যান।

যদিও সেই উইকেট ছাপিয়ে বুমরাহের সেই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে। ভারতের তারকা পেসারের সেই রূপ দেখে তো নেটপাড়া একেবারে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে। এক নেটিজেন বলেন, 'লাইভ সম্প্রচারের সময় এটা খেয়াল করিনি। স্লেজিংয়ের সময়ও উনি কীভাবে এতটা বিনয়ী থাকতে পারেন!' অপর একজন বলেন, 'এটা ক্রিকেটের ইতিহাসে নিশ্চিতভাবে অন্যতম সেরা মুহূর্ত।' একজন আবার বলেন, ‘চুপচাপ, শান্তশিষ্ট একটি ছেলে থেকে আচমকা এমন একজনে পরিণত হয়েছেন, যিনি নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। অভাবনীয় পরিবর্তন।’