২০২৩ এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত সোমবার নেপালের মুখোমুখি হয়েছে। ভারতীয় বোলাররা শুরুটা খারাপ করেননি। চমৎকার লাইন এবং লেন্থ বজায় রেখেছিলেন এবং উইকেটের জন্য বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিলেন। তবে ভারতীয় ফিল্ডাররা এদিন একেবারে ধেড়িয়েছেন। তিন তিনটি সহজ ক্যাচ ফেলে সমালোচনার কেন্দ্রে নিজেদের নিয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলিরা।
প্রথম ক্যাচটি স্লিপে মিস করেন শ্রেয়স আইয়ার। এর পরে বিরাট কোহলি কভারে একটি ক্যাচ ফেলে দেন এবং উইকেটরক্ষক ইশান কিষাণও উইকেটের পিছনে একটি সহজ ক্যাচ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।
এই ক্যাচ মিসের ধারা দেখে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা হতাশ এবং বিরক্তও। এর ফলে নেপালের ব্যাটসম্যানরা সুবিধে পেয়ে যান। তারা নিজেদের ইনিংস নির্বিঘ্নে কোনও ধাক্কা ছাড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি, এবং ইশান কিষাণ- তিন জনেই প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই নেপালের ওপেনারদের আউট করার সুযোগ মিস করেন।
প্রথম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে কুশল ভুর্টেল বলটি এজড করেন এবং শ্রেয়স আইয়ার প্রথম স্লিপে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করলেও, ধরে রাখতে পারেননি। তিনি ডানদিকে সরে গেলেও ক্যাচটি তিনি মিস করেন।
পরের ওভারে আসিফ শেখকে আউট করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বিরাট রোহলি। আসিফ শেখ বলটি সরাসরি কভার পয়েন্টে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু কোহলি সেটা ধরার চেষ্টা করলেও, তিনি পিছলে গিয়ে ক্যাচ মিস করেন।
এর পর চতুর্থ ওভারে লেগ সাইডে একটি ডেলিভারির ফলে ভুরটেল একটি পুল শট খেলার চেষ্টা করেছিলেন। বাঁ-দিকে থাকা ইশান কিষাণের কাছে ক্যাচের সুস্পষ্ট সুযোগ ছিল, কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে উইকেটরক্ষক বলটি পাশ দিয়ে যেতে দেন, ফলে এটি উল্টে বাউন্ডারি হয়ে যায়।
কোহলিদের ক্যাচ মিসের বহর দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কপালে। নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের ফিল্ডিংয়ের হাল দেখে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন যে, এই দলটি আসন্ন আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য আদৌ প্রস্তুত তো?
ক্য়াচ মিসের চোটে নেপাল প্রথম উইকেটে ৬৫ রান করে ফেলে। কুশল ৩৮ করে (২৫ বলে) শার্দুলের ঠাকুরের বলে ইশানের হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় বার ক্যাচ দিয়ে আউট হন কুশল। আর আসিফ তো জীবনদান পেয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন। ৫৮ (৯৭ বলে) করে মহম্মদ সিরাজের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।