যা ভাঙেনি, জোড়ার চেষ্টা করা বোকামি। পরিস্থিতি যখন অনুকূল রয়েছে, তখন অকারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার রাস্তায় হাঁটতে রাজি হল না পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের জন্য আগেভাগে প্রথম একাদশ ঘোষণা করলেন বাবর আজমরা। বলা বাহুল্য, সেরা দল নিয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে পাকিস্তান।
নেপাল নিতান্ত দুর্বল দল হলেও এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। তারা শক্তিশালী দল নিয়েই নেপালের মোকাবিলা করে। প্রত্যাশিতভাবেই বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখেন বাবররা।
নেপালের বিরুদ্ধে দুই পাক ওপেনার সুনাম অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তবে প্রাথমিক সেই ব্যর্থতাটুকু বাদ দিলে ব্যাটে-বলে নিখুঁত ক্রিকেট উপহার দেয় পাকিস্তান। সঙ্গত কারণেই উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই সুপার ফোর কার্যত নিশ্চিত হলেও প্রথম ম্যাচের অপরিবর্তিত দল নিয়ে রোহিতদের মোকাবিলায় নামতে চলেছেন বাবর আজমরা। তাঁরা রিজার্ভ বেঞ্চের কোনও ক্রিকেটারকে যাচাই করার রাস্তায় হাঁটছেন না। অবশ্য ভারত-পাক ম্যাচের গুরুত্ব অনুধাবন করলে, সেই বিকল্প হাতে থাকছে না বাবরদের।
এশিয়া কাপ সংক্রান্ত যাবতীয় খবর, তথ্য-পরিসংখ্যান ও লাইভ স্কোর আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেন পাক দলনায়ক বাবর আজম। ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন তিনি। ঝোড়ো শতরান করেন ইফতিকার আহমেদ। তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মহম্মদ রিজওয়ান ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ৪৪ রানের যোগদান রাখেন। পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেপাল ২৩.৪ ওভারে মাত্র ১০৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২৩৮ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের এশিয়া কাপের ইতিহাসে পাকিস্তানের এটি সব থেকে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচের জন্য পাকিস্তানের প্রথম একাদশ:-
ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম (ক্যাপ্টেন), মহম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), আঘা সলমন, ইফতিকার আহমেদ, শাদব খান, মহম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফ।