হার্দিক পান্ডিয়ার ইন-সুইং বুঝে উঠতেই পারেননি বাবর আজম। সোজা গিয়ে ভেঙে দেয় স্টাম্প। হার্দিকের বল বাবরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানের ইনিংসের ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে হার্দিক পান্ডিয়া অফ-স্টাম্প লাইনে বল ফেলেন। বাবর আজম ভুল জাজ করে বলটি অফ সাইডের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বোল্ড হয়ে যান।
সত্যি কথা বলতে, বাবর ডেলিভারিটি একেবারেই বুঝতে পারেননি। বিশ্বের এক নম্বর ওডিআই ব্যাটারকে নিজের প্রথম ওভারেই আউট করে উচ্ছ্বাসে ভাসেন হার্দিক। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের কাছে বড় উইকেট ছিল।
সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে বাবর আজম যে ২৪টি বল খেলেছেন, তাতে মোটেও স্বচ্ছন্দ লাগেনি পাক অধিনায়ককে। ২৪ বলে তিনি মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অথচ ভারতের দেওয়া ৩৫৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অধিনায়কের আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিল।
বাবরকে বোল্ড করার পরের বলেই মহম্মদ রিজওয়ানকেও প্রায় আউট করে ফেলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁকে হার্ড-লেংথ ডেলিভারি দিয়েছিল। বলটি রিজওয়ানের প্যাড ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক কেএল রাহুলের কাছে চলে যায়। ভারত ডিআরএস নিয়েছিল। কিন্তু পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে, রিজওয়ান এলবিডব্লিউ আউট হননি। বা ক্যাচও হয়নি। তবে হার্দিকের বলটি নিঃসন্দেহে ভালো ছিল।
নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই হার্দিক বাবর আজমকে বোল্ড করেন হার্দিক। নড়িয়ে দিয়েছিলেন রিজওয়ানকেও। পরিবর্তে ১ রান দেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তার আগে জসপ্রীত বুমরাহ ফিরিয়েছিলেন ইমাম-উল হককে। ৪.২ ওভারের মাথায় বুমরাহের ডেলিভারিটি, যেটি বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে খোঁচা মেরে ক্যাচ তোলেন ইমাম। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শুভমনের হাতে। ১৮ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
রবিবার যখন খেলা বন্ধ হয়, তখন ভারতের স্কোর ছিল ২৪.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৭ রান। সেখান থেকে বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল মিলে ভারতকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে গিয়েছে। কোহলি-রাহুল মিলে তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ২৩৩ রান যোগ করেন। ভারত নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ২ উইকেট হরিয়ে করে ৩৫৬ রান। কোহলি ৯৪ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার এবং ৩টি ছক্কা। কেএল রাহুল তাঁর কামব্যাক ম্যাচে অপরাজিত থাকেন ১০৬ বলে ১১১ করে। ১২টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন তিনি।