এশিয়া কাপের ফাইনালে ইতিহাস লিখেছে ভারত। আর সেই ইতিহাসের নায়ক একজনই- মহম্মদ সিরাজ। আসলে দিনটাই বোধহয় ছিল সিরাজের। খেলার শুরুতেই তিনি এদিন ইতি টেনে দিয়েছিলেন। এশিয়া কাপের ফাইনালটা পুরোটাই ছিল সিরাজময়।
৭ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। মাত্র ১৬ বলে নিজের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে যৌথ ভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সেরা বোলিং গড় এখন সিরাজের পকেটে। ভারতীয় বোলার হিসেবে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৪ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। দুরন্ত বোলিংয়ে একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়ে গিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে জয়ের নজির ভারতের, রোহিত ছুঁলেন ধোনি, অজহারকে
এদিন ম্যাচের সেরা হয়ে নিজের সাফল্যের রহস্য উদ্ঘাটন করলেন সিরাজ। সঙ্গে বলেন, পুরো বিষয়টাই তাঁর কাছে ছিল পুরো স্বপ্নের মতো। ইনিংসের বিরতিতেই সিরাজ বলেছিলেন, ‘এই ইনিংসটা আমার কাছে স্বপ্নের মতোই লাগছে। গতবার তিরুবন্তপুরমে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনেকটা এই রকমই করেছিলাম। সেবার আমি শুরুতেই চার উইকেট পাই। কিন্তু সেটাকে পাঁচ উইকেটে পরিণত করতে পারিনি। হয়তো ভাগ্যে এই ম্যাচটা লেখা ছিল। আজকে (রবিবার) অতিরিক্ত কিছু করিনি। ক্রিকেটে আমি সব সময়ে বোলিং করার কথা ভাবি। তবে আগের ম্যাচগুলিতে খুব একটা সুইং পাইনি। আজ বলে সুইং হচ্ছিল। আউট সুইং করে বেশি উইকেট পেয়েছি।’
ম্যাচের পর সিরিজ বলেন, ‘আমি কিছু দিন ধরেই ভালো বোলিং করছি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটাররা আমার বলে পরাজিত হচ্ছিল। আজ আমি নিজের লয় খুঁজে পাই। আমি শুধু ঠিকঠাক জায়গায় আঘাত করার চেষ্টা করেছি। শেষ দুই ম্যাচে উইকেটে সিম ছিল, আজ আবার সুইং ছিল। আমি ব্যাটারদের যতটা সম্ভব খেলানোর চেষ্টা করেছি। কারণ বল সুইং করছিল, তাই শুধু ব্যাটারের ব্যাটের কাছে বল করার চেষ্টা করেছি। আমি যেভাবে ভেবেছিলাম, আমি তা বাস্তবায়ন করেছি এবং পরিকল্পনা সফল হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিচ খুব ভালো ছিল। প্রথম থেকেই ঠিকঠাক সুইং পেয়েছিলাম। এবং আমার মনে হয়, আবহাওয়া কিছুটা স্যাঁতসেঁতে ছিল। সেটা কাজে লেগেছে।’ হার্দিক পান্ডিয়া এবং জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে বোলিং করা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে হার্দিক বলেছেন, ‘যখন ফাস্ট বোলারদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হয়, তখন বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি হয় এবং আমরা অন্য প্রান্তে উইকেট পাই। এটা দলকে সাহায্য করে।’