তাঁদের দেখেই নাকি পিটিয়ে খেলতে শিখেছেন যশস্বী জয়সওয়ালরা। তাই ইংরেজদের সেটার কিছুটা ক্রেডিট দেওয়া উচিত। রাজকোটে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেটের সেই মন্তব্য নিয়ে তুমুল হাসাহাসি শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকে বিরক্তও হয়েছেন। সেই রেশ ধরে নেটিজেনরা আবার ডাকেটের সঙ্গে ব্যাজবলের অন্যতম ‘প্রবর্তক’ বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ছবি খুঁজে বের করেছেন। তাঁরা একসঙ্গে ব্যাটিং করতে নামছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁরা খোঁচা দিয়ে বলতে শুরু করেছেন, তাহলে সেহওয়াগের থেকে মারকুটে খেলা শিখেছিলেন ডাকেট। সেহওয়াগকে কি ক্রেডিট দেবেন ইংরেজের ব্যাটার?
আর সেহওয়াগের সঙ্গে যখন ডাকেট ব্যাটিং করতে নামছিলেন, তখন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাননি। ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইয়র্কশায়ার টি-টোয়েন্টি চ্যারিটি ম্যাচে সেহওয়াগের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ডাকেট। সেই ম্যাচের সপ্তাহদুয়েক পরে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ডাকেটকে একেবারে তুলোধোনা করেছেন নেটিজেনরা।
এক নেটিজেন বলেন, 'সেহওয়াগও ব্যাজবলের নকল করেছিলেন। কিন্তু সেহওয়াগ এতটাই দ্রুত ছিলেন যে উনি এই বিষয়টা শুরু হওয়ার ২০ বছর আগেই নকল করে ফেলেছিলেন।' অপর এক নেটিজেন বলেন, 'এই ব্যাজবলারগুলো যখন স্কুলে পড়ত, তখন একটি সেশনেই সেঞ্চুরি হাঁকাতেন সেহওয়াগ।' উল্লেখ্য, ভারতে কোনও টেস্টের একটি সেশনে সর্বোচ্চ রানের নজির আছে বীরুর। ২০০৯ সালে এক সেশনেই ১৩৩ রান করেছিলেন। রাজকোটে ১১৪ রানের সৌজন্যে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডাকেট।
কিন্তু ডাকেট ঠিক কী বলেছিলেন? শনিবার তিনি বলেন, ‘যখন আপনি বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের এরকমভাবে খেলতে দেখেন, তখন মনে হয় যে আমাদের কিছুটা ক্রেডিট নেওয়া উচিত। অন্যরা যেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলে থাকে, তার থেকে আলাদা ছন্দে খেলে ওরা। গ্রীষ্মের সময়ও আমরা সেটার কিছুটা ঝলক দেখেছি। অন্য খেলোয়াড় এবং অন্য দলও যখন আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে, তখন সেটা দেখে বেশ উত্তেজিত বোধ হয়।’
আর সেই ‘উত্তেজনা’ যাতে আরও উপভোগ করতে পারেন ডাকেট, সেটা নিশ্চিত করতে চতুর্থ দিনে কোনও খামতি রাখেননি যশস্বী। ২৩৬ বলে অপরাজিত ২১৪ রান মারেন ১৪টি চার। হাঁকান ১২টি ছক্কা। যা যুগ্মভাবে বিশ্বরেকর্ড। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের সেরা বোলার জেমস অ্যান্ডারসনকে পরপর তিনটি বলে ছক্কা মারেন যশস্বী। সেইসময় কতটা ‘উত্তেজিত’ বোধ করছিলেন ডাকেট, তা জানতে মুখিয়ে আছেন নেটিজেনরা।