শুভব্রত মুখার্জি: চলতি মরশুম শুরুর আগেই অধিনায়কত্বে বদল এনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল। ট্রেডিংয়ের মধ্যে দিয়ে তারা গুজরাট টাইটানস দল থেকে নিয়ে এসেছে হার্দিক পান্ডিয়াকে। তারপর পাঁচ বারের আইপিএল শিরোপা জয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিকের হাতে দলের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয়। যে সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সমর্থকদের একাংশ। প্রতিনিয়ত তাদের কটাক্ষের শিকার হার্দিককে হতে হচ্ছে মাঠ এবং মাঠের বাইরে। তার উপরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চলতি আইপিএলে পারফরম্যান্স আহামরি নয়। ফলে আরও তীব্র হয়েছে এই কটুক্তি।
ঘটনাটি কী ঘটেছিল?
এই ঘটনার ফের একবার সাক্ষী থেকেছে বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। যেখানে আরসিবি মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ম্যাচে মুম্বই হারিয়ে দিয়েছে আরসিবিকে। সেই ম্যাচেই হার্দিক ব্যাট করতে নামার পরে শুনতে হয় দর্শকদের কটাক্ষ। সেই সময়েই এগিয়ে আসেন বিরাট কোহলি। তিনি দর্শকদের কটাক্ষ করতে সরাসরি মানা করেন। আর বিরাট কোহলির এই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
কী বললেন হরভজন সিং?
তারা এই আচরণের প্রশংসা করার পাশাপাশি জানিয়েছেন এটা একজন সত্যিকারের বড় ক্রিকেটারের লক্ষণ। আইপিএলের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টসে হরভজন সিং বলেন, ‘যেভাবে বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়াকে সমর্থন করেছেন, ওঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সত্যি অনবদ্য। দর্শকদের হার্দিককে 'বুয়িং' না করে তাঁকে সমর্থন জানানোর কথা বলেন কোহলি। এটা একজন প্রকৃত বড় খেলোয়াড়ের লক্ষণ। খুব খুব ভালো স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের উদাহরণ।’
কী বললেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ?
এই এক ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে জিও সিনেমায় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানিয়েছেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়ার প্রতি বিরাট কোহলির যে আচরণ ছিল তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ওয়াংখেড়ের সমর্থকদের বিরাট, হার্দিককে সমর্থন জানাতে বলে। ওঁকে বুয়িং করতে বারন করে। এটা বিরাট কোহলির তরফে একটা দুর্দান্ত আচরণ ছিল।’ পান্ডিয়ার ক্ষেত্রে দর্শকদের এই কটাক্ষের ঘটনা এই মরশুমে নতুন কিছু নয়। এর আগেও ঘটেছে এই ঘটনা। বলা যায় প্রতিটি ম্যাচেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘরের মাঠে হোক কিন্তু বিপক্ষের মাঠে বারংবার ঘটেছে এই ঘটনা। তবে ওয়াংখেড়েতে বৃহস্পতিবার ওই এক ঘটনার সূত্রপাত হলেও বিরাটের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলায়। হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট করতে নামার সময়েই যে দর্শকরা তাঁকে কটাক্ষ করছিল তারাই বিরাটের আবেদনের পরে তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করে।